করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত বছরের মতো এবারও বই উৎসব হবে না। বই উৎসব না হলেও শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আজ (বৃহস্পতিবার) মাতুয়াইল প্রেস পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন,
“স্কুল থেকে ভাগে ভাগে বই বিতরণ করা হবে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৯৫ ভাগ বই স্কুলগুলোতে পৌঁছে যাবে। বাকিগুলো যাবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। কাজেই কোনো শিক্ষার্থী সময়ের মধ্যে বই পাবে না, এমনটি নয়।”
করোনা মহামারির কারণে নতুন বছরে সারাদেশে বই উৎসব করা সম্ভব না হলেও বছরের রীতি অনুযায়ী ২০২২ শিক্ষাবর্ষের জন্য বছরের প্রথম দিন বই দেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে।
আগামী ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রছাত্রীদের হাতে বই তুলে দিয়ে ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব’ এর উদ্বোধন করবেন। পরদিন ১ জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার কার্যক্রম পরিচালিত হবে। শিক্ষার্থীরা সবাই পর্যায়ক্রমে নতুন বই পাবে।

প্রেস পরিদর্শনকালে মন্ত্রী বলেন,
“আমরা প্রেস ঘুরে দেখলাম। মান ঠিক আছে বলে মনে হলো। এছাড়া এনসিটিবি থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রেস পরিদর্শন করা হয়। ১৫৮টি প্রেসে মাধ্যমিক ও ৪২টি প্রেসে প্রাথমিকের বই তৈরির কাজ চলছে। আমরা মান ঠিক রাখার চেষ্টা করছি। কেউ সঠিক মান না দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
নতুন শিক্ষাক্রম প্রসঙ্গে এর আগে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০২২ সাল থেকে প্রাথমিকে ১০০টি আর মাধ্যমিকে ১০০টি প্রতিষ্ঠানে পাইলটিং শুরু হচ্ছে। এজন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ চলছে, টিচার্স গাইড তৈরি হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন,
“২০২৩ সাল থেকে এ কার্যক্রম সারাদেশে নিয়ে যাব। এরপর আমরা পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করব। এরপর ২০২৫ সালে সারাদেশে এটি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত হবে।”
গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা উপস্থাপন বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, “প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার আসছে। পঞ্চম শ্রেণির পিইসি, অষ্টম শ্রেণির জেএসসি নামে পাবলিক পরীক্ষা বাতিল করা হবে। পাশাপাশি নবম ও দশম শ্রেণিতে মানবিক, বিজ্ঞান, ব্যবসায়শিক্ষা নামে বিভাগ তুলে দেওয়া হবে।”