মহাকাশ মানবজাতির অন্যতম আগ্রহ এবং কৌতূহলের ক্ষেত্র। মহাকাশ ভ্রমণ একটি সময় শুধুমাত্র পরাশক্তিধর দেশের রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত সম্মানের প্রতীক ছিল।বর্তমানে মহাকাশ গবেষণা ও যাত্রায় রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ এবং তহবিল কমে এসেছে।
মহাকাশ নিয়ে গবেষণার শূণ্যতা পূরণে এগিয়ে এসেছে বেসরকারি খাত। চলতি মাসে বানিজ্যিকভাবে মহাকাশ ভ্রমণের দ্বার উন্মোচন করেছেন বিশ্বখ্যাত দুই ব্যবসায়ী স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন এবং জেফ বেজোস।
নিজ প্রতিষ্ঠান ভার্জিন গ্যালাকটিক এর তৈরি সুপারসনিক রকেট ইউনিটি-২২ এ করে গত ১০ জুলাই মহাকাশে যান রিচার্ড ব্র্যানসন। নিউ মেক্সিকো থেকে যাত্রাকালে তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন ৫ জন।এক ঘন্টাব্যাপী যাত্রায় এই মহাকাশযানটি ঘণ্টায় তিন হাজার কিলোমিটারেরও বেশি গতি উড়ে যায়।

এ সময় কয়েক মিনিট ধরে রকেটের ছয় যাত্রী ভরশূন্যতার অভিজ্ঞতা অর্জন করে।
রিচার্ড ব্র্যানসন বলেছেন, “এই পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের ভেতর দিয়ে মহাকাশে পর্যটনের নতুন এক যুগের সূচনা হলো।”

অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস গত ২০ জুলাই মহাকাশে যান।তাঁর সংস্থা ব্লু অরিজিন এর তৈরিকৃত নিউ শেপার্ড নামে রকেটে করে তিনি যাত্রা করেন। তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন ৩ জন।তাঁরাও ৩ -৪ মিনিট ভরশূন্যতা অনুভব করেন।
পরিভ্রমণ শেষে মাত্র ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ডের মাথায় তাঁরা পৃথিবীতে ফিরে আসে।
ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্স এ বছরের শেষের দিকে মহাকাশে পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু করবে।
ইতিমধ্যেই রিচার্ড ব্র্যানসনের ভার্জিন গ্যালাকটিকে করে মহাকাশে যেতে টিকেট রিজার্ভ করেছেন ৮ হাজার মানুষ।আর ৭ হাজার ৬০০ জনের বেশি মানুষ মহাকাশে যেতে চান জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিনের মাধ্যমে।
মহাকাশে যেতে মাথাপিছু টিকেটমূল্য আড়াই লক্ষ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ মহাকাশে কয়েক মিনিটের অভিজ্ঞতা নিতে একজন মানুষকে খরচ করতে হবে বাংলাদেশি অঙ্কে প্রায় ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। আগামী বছর বাণিজ্যিকভাবে এই ধরণের পর্যটন শুরুর কথা রয়েছে।