ক্রিকেটার থেকে এর আগে অনেককেই রাজনীতিতে দেখা গেছে। এবার তালেবানদের ক্ষমতা দখলের পর আলোচনায় এসেছেন আফগানিস্তানের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার আব্দুল্লাহ মাজারি।বছরখানেক আগেও ছিলেন পেশাদার ক্রিকেটার। আজ তিনি ক্ষমতা ফিরে পাওয়া তালেবানদের প্রভাবশালী এক নেতা।
আফগানিস্তানের মাজার ই শরিফে জন্ম ১৯৮৭ সালে জন্ম আব্দুল্লাহ মাজারির।ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সালে কাউদ-ই-আজম ট্রফিতে সেইলকোট ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে পেশোয়ারে তাঁর প্রথম শ্রেণীর আত্মপ্রকাশ হয়। পরবর্তী সপ্তাহে তিনি ফৈজালাবাদের ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে খেলেন। তিনি এওয়াইআরে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি ইন্টারকনটিনেন্তাল কাপ ম্যাচে খেলেন, পরের বছর আফগানিস্তানের হয়ে পুনরায় খেলায় ফিরে আসেন।
কেনিয়ার বিপক্ষে ২০১০ সালে আফগান জাতীয় দলে অভিষেক এই বাহাতি অর্থডক্স স্পিনারের।অবশ্য ক্যারিয়ার বেশি লম্বা করতে পারেননি। কেনিয়া সফরেই খেলে ফেলেন জাতীয় দলের হয়ে শেষ ম্যাচ। মাত্র দুই ওয়ানডের ক্যারিয়ারে নিয়েছেন দুই উইকেট।
টানা কয়েক মৌসুম খেলেছেন পাকিস্তানের কায়েদ এ আজম ট্রফিতে। তবে ঘরোয়া ক্যারিয়ার খুব একটা মন্দ নয়, মাজারির। প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে ২১ ম্যাচে ৬৪, লিস্ট এ’তে ১৯ ম্যাচে ২৬ আর ১৩ টি টোয়েন্টিতে সমান সংখ্যক উইকেট আছে তাঁর ঝুলিতে।

বেশ তিক্ত অভিজ্ঞতাও আছে তাঁর খেলোয়ারি জীবনে। ২০১৮ সালে আফগানিস্তানের ঘরোয়া টি টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে এক ওভারে ৬ ছক্কাসহ দেন ৩৭ রান।তাঁকে ৬টি ছক্কা মারেন স্বজাতি বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হজরতুল্লাহ জাজাই।
শপাগিজা লীগে (আফগানিস্তানের ঘরোয়া টি-টুয়েন্টি লীগ) খেলেছেন ২০২০ মৌসুম পর্যন্ত। এরপর পাকিস্তানে ফিরে যান মাজারি। ইসলামাবাদে শুরু করেন জমির ব্যবসা। একসময় যুক্ত হোন তালেবান রাজনীতিতে। ক্রিকেট মাঠে তেমন সফল না হতে পারলেও তালেবান ক্ষমতায় আসায় নতুন পরিচয়ে সফল আব্দুল্লাহ মাজারি।
উল্লেখ্য,আফগানিস্তানে ইসলামিক শাসন ব্যবস্থা আবারও কায়েম হবে, ফেসবুকে এমন ঘোষণা দিয়ে কয়েকমাস আগে স্পটলাইটে এসেছিলেন মাজারি। যা আজ বাস্তব।
তালেবান কাবুল দখলের পর থেকেই নিয়ন্ত্রণ নেয় আফগান ক্রিকেট বোর্ডের।এরপর থেকেই আলোচনায় ক্রিকেটের ব্যাপারে তালেবানের পদক্ষেপ নিয়ে।
আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) প্রধান নির্বাহী হামিদ শিনওয়ারি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন,
“তালেবানরা ক্রিকেটকে ভালোবাসে এবং তাঁরা এই খেলার ক্ষতি করবে না।”