চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দারুণ খেলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু হুট করেই দলের নেতৃত্বে পরিবর্তন আনে ফ্রাঞ্চাইজিটি। সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ম্যাচে নামার আগে মেহেদী হাসান মিরাজকে সরিয়ে নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয় নাঈম ইসলামের কাঁধে।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বে সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ম্যাচে তাকে সরিয়ে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয় নাঈমকে।চট্টগ্রামের এমন আকস্মিক এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েছেন মিরাজ। তার নেতৃত্বে চার ম্যাচ খেলে দুইটিতে জয় পায় চট্টগ্রাম। এদিকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ায় বিপিএলে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মিরাজ। আজ সন্ধ্যায় দল ছেড়ে ঢাকায় ফিরছেন তিনি।
আরো পড়ুনঃ রুদ্ধশ্বাস বৈঠকে পাল্টালো মিরাজের সিদ্ধান্ত। তবে চট্টগ্রামের সিইও…
নিজের সিদ্ধান্তের কথা ইতিমধ্যে বিসিবিকে জানিয়েছেন তিনি,
‘আমি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই দল ছেড়ে যাচ্ছি। দলকে ই-মেইল করেছি। ই-মেইল করেছি বিসিবির প্রধান নির্বাহীকেও।’ তাতে অবশ্য ভিন্ন কারণ উল্লেখ করেছেন।
মায়ের অসুস্থতার কথা বললেও সেটি যে আসল কারণ নয়, সেটিও তাঁর কথাতেই স্পষ্ট,
‘ই-মেইলে মায়ের অসুস্থতার কথা বলেছি যদিও। কিন্তু চট্টগ্রামের ম্যানেজমেন্ট জাতীয় দলের ক্রিকেটারের মানহানি করেছে। এ রকমটা তারা আগেরবারও করেছে। এমন তো নয় যে আমি বাজে খেলেছি বা দল খারাপ করেছে। আমিও পারফর্ম করেছি, দলও এই ম্যাচের আগে পয়েন্ট টেবিলে দুই নম্বরে ছিল। বলা নেই কওয়া নেই – এভাবে আমাকে সরিয়ে দেওয়াটা মেনে নিতে পারছি না। আমি খেলবই না।’
আরো পড়ুনঃ হঠাৎ বিপিএল ছেড়ে চলে গেলেন চট্টগ্রামের হেড কোচ পল নিক্সন!!
তাঁকে রহস্যজনকভাবে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষোভে রবিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার ফ্লাইটে তিনি চট্টগ্রাম ছাড়বেন বলেও জানিয়েছেন মিরাজ নিজেই। চট্টগ্রামের চিফ অপারেটিং অফিসার ইয়াসির আলম আগের দিন অধিনায়ক বদলের ব্যাখ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, দল ছেড়ে যাওয়া হেড কোচ পল নিক্সনের পরামর্শেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু নিক্সনের বিদায়ী সভায় এ রকম কিছুই ইংলিশ কোচকে বলতে শোনেননি বলেও জানান মিরাজ,‘ওই সভায় আমিও ছিলাম। অনেক কথা হয়েছে, কিন্তু কোচকে এ রকম কিছুই বলতে শুনিনি। বরং আমার নেতৃত্ব এবং পারফরম্যান্স নিয়ে উচ্ছ্বসিতই ছিলেন।’