বৃহস্পতিবার বিকালে ইভ্যালি সিইও মোহাম্মাদ রাসেল ও তার স্ত্রীকে মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে অভিযান করে আটক করে র্যাব।
গ্রেফতারের পর আজ, বৃহস্পতিবার র্যাবের প্রেস ব্রিফিং থেকে জানা যায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে ইভ্যালি সিইও মোহাম্মদ রাসেল।
র্যাব কর্মকর্তা জানান ইভ্যালি শুরু থেকেই একটি লোকশানী প্রতিষ্ঠান ছিল। গ্রাহকদের নতুন পণ্য অর্ডারের টাকা দিয়ে তারা পুরোনো গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহ করতো। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় স্পোন্সোরশীপের টাকাও তারা গ্রাহকদের টাকা থেকে দিত বলে জানা গেছে।
ইভ্যালি সিইও আগামী ৫ মাসের মধ্যে যে দেনা পরিশোধ করবে সে প্রসংগে র্যাব কর্মকর্তা জানান, আগামী ৫ মাসের মধ্যে বিদেশী বিনিয়োগ পেলে সেটা দ্বারা সকল পুরোনো পেন্ডিং অর্ডার ডেলিভারি দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল ইভ্যালি সিইওর। যদি কোনো দেশি কিংবা বিদেশী বিনিয়োগ না পায়, তাহলে কোম্পানি দেওলিয়া ঘোষণা করার পরিকল্পনাও নাকি তিনি জানিয়েছেন বলে দাবী করেছেন র্যাব কর্মকর্তা।
ইভ্যালির শুরু থেকেই লক্ষ্য ছিল তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়ানো। এরই প্রেক্ষিতে ইভ্যালির সিইও গত মাসে লাইভে এসে দাবী করেন ইভ্যালির ব্র্যান্ড ভ্যালু ৫০০০ কোটি টাকা।