আর বোধ হয় এড়ানো গেল না রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সামরিক অভিযানের ঘোষণায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো হামলা। যুদ্ধের দামামা যে বাজছে মধ্যরাতে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে সেই সুরই ধরা পড়ল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের গলায়।
বেজে গেল যুদ্ধের দামামা। ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। তিনি ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে অস্ত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রচ্ছন্ন হুমকির সুরে জানিয়ে দিয়েছেন যে ইউক্রেন অপারেশনে যারা হস্তক্ষেপ করবে তাদের পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। পূর্ব ইউরোপের ক্রিমিয়া দিয়ে ইউক্রেনে ঢুকেছে রুশ সেনা।
Anyone who tries to interfere with us, or even more so, to create threats for our country & our people, must know that Russia’s response will be immediate and will lead you to such consequences as you have never before experienced in your history: Russian President Vladimir Putin pic.twitter.com/xSCWPTByWv
— ANI (@ANI) February 24, 2022
যদিও নিজের ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেন্স্কি বার বার দাবি করেছেন, তাঁর দেশ রাশিয়ার কাছে মোটেও আতঙ্কের কারণ নয়। তিনি বলেন, ‘‘ইউক্রেনের জনতা এবং সরকার শান্তি চায়। কিন্তু যদি আমাদের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়, শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত লড়াই জারি থাকবে।’’ এই প্রেক্ষিতেই জেলেন্স্কি শুভবুদ্ধি সম্পন্ন রুশদের কাছে পুতিনের আগ্রাসন মোকাবিলায় উদ্যোগ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।

ম্যাক্সার সংস্থার উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, বিগত ২৪ ঘণ্টা ধরেই ধীরে ধীরে ইউক্রেন সীমান্তে আরও সৈন্য বাড়াচ্ছে রাশিয়া। মূলত বেলারুসের দক্ষিণ অঞ্চল এবং ইউক্রেন সীমান্তের কাছে পশ্চিম রাশিয়ায় সেনা বাহিনী ও সামরিক যানবাহনের সংখ্যা হঠাৎ করেই বেড়েছে।
বর্তমানে প্রায় দেড় থেকে দুই লক্ষ সেনা মোতায়েন রয়েছে ইউক্রেনের সীমান্তে। গতকালই উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে যে, গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন সীমান্তে আরও সেনা মোতায়েন করেছে। ট্যাঙ্কার সহ যুদ্ধে ব্যবহৃত নানা অস্ত্র ও সমরসজ্জা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকালেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, রাশিয়ার পূর্ব অংশে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি রুখতেই এই অভিযান চালানো হচ্ছে।
পূর্ব ইউরোপের ক্রিমিয়া দিয়ে ইউক্রেনে ঢুকেছে রুশ সেনা। এরপরই রাজধানী কিভ, খারকিভ-সহ একাধিক শহরে শোনা গিয়েছে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ। ইউক্রেনে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।