সৌদি আরবের পতাকা, জাতীয় সংগীত ও রাষ্ট্রীয় প্রতীক থেকে ইসলাম ধর্মের চিহ্ন বাদ দেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর অংশ হিসেবে জাতীয় পতাকা থেকে কালেমা তাইয়েবা বাদ দেয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে দেশটির শুরা কাউন্সিল।
দেশটির সংবাদমাধ্যম সৌদি প্রেস এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সোমবার দেশটির শুরা কাউন্সিল পতাকা পরিবর্তনের পক্ষে সায় দিয়েছে।
১৯৭৩ সালে করা পতাকা সম্পর্কিত রাজকীয় আদেশটি সংশোধনের আনা খসড়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে শুরা কমিটির সব সদস্য। মজলিশে শুরার সদস্য মেজর জেনারেল এম আসিরির আনা প্রস্তাবের পর এতে অন্য সদস্যরা সম্মতি দেন।
পতাকায় গাঢ় সবুজ পটভূমিতে সাদা রঙে লেখা কালেমা তাইয়েবা ও এর নিচে রয়েছে সাদা তলোয়ার।
ধারণা করা হচ্ছে, সংশোধিত এই পতাকায় কালেমা তাইয়েবা সরিয়ে আরবি ও ইংরেজিতে লেখা হবে দেশটির নাম।
একই সঙ্গে দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রতীকেও (একটি খেজুরগাছের নিচে আড়াআড়িভাবে দুটি তলোয়ার) আসতে পারে পরিবর্তন।
শুরার নিরাপত্তা ও সামরিকবিষয়ক কমিটির সম্মতির পর জাতীয় পতাকা, প্রতীক ও সংগীত সংস্কারের এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন এখন নির্ভর করছে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের চূড়ান্ত অনুমোদনের ওপর।
সৌদির শুরা কাউন্সিলের সম্মতিই যেকোনো আইন বাস্তবায়ন ও সংস্কারে চূড়ান্ত হিসেবে বিবেচিত হয়। সে হিসেবে বাদশাহর অনুমোদন এখন আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের ‘ভিশন ২০৩০’-এর অংশ হিসেবে পতাকা ও জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করা হচ্ছে।
শুরার নিরাপত্তা ও সামরিকবিষয়ক কমিটির সম্মতির পর জাতীয় পতাকা, প্রতীক ও সংগীত সংস্কারের এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন এখন নির্ভর করছে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের চূড়ান্ত অনুমোদনের ওপর।
প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের ‘ভিশন ২০৩০’-এর অংশ হিসেবে পতাকা ও জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করা হচ্ছে।সমাজ ও সংস্কৃতির ‘আধুনিকায়নে’ ভিশন-২০৩০ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সেই লক্ষ্যেই ইতিমধ্যে বহু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। গাড়ি চালানো, হলে গিয়ে সিনেমা ও মাঠে গিয়ে খেলা দেখা এমনকি অভিভাবক ছাড়াই নারীদের হোটেলে কক্ষ ভাড়া নেয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি দেশটিতে বড় বড় কনসার্টেরও আয়োজন করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়, যা নিয়ে সারাবিশ্বে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।সৌদি আরবের স্থানীয় একটি দৈনিকের খবরে বলা হয়, সংস্কারে জাতীয় পতাকা ও সংগীতে কী পরিবর্তন হবে তা জানানো হয়নি, তবে এগুলোর আইনে সংশোধন আনা হবে। আইনে কী ধরনের সংশোধন আসতে পারে সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু জানায়নি পত্রিকাটি।
তবে পতাকার প্রয়োজনীয় সম্মান এবং কালেমাখচিত পতাকাকে অবহেলা ও অনিচ্ছাকৃতভাবে পড়ে যাওয়া থেকে সুরক্ষার জন্যই এই আইন হতে পারে বলেও দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে।
ঐতিহ্যগতভাবে রক্ষণশীল ইসলামি দেশ হিসেবেই পরিচিত সৌদি আরব। কিন্তু হাজার বছরের সেই ঐতিহ্য থেকে ক্রমেই বেরিয়ে আসছে দেশটি। এ ক্ষেত্রে একেবারে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।সৌদির আদি ইসলামি ঐতিহ্যকে কট্টরপন্থা আখ্যা দিয়েছেন তিনি। বিপরীতে দেশে মধ্যপন্থি ইসলাম প্রতিষ্ঠার কথা বলছেন তিনি।
বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এখন নামেমাত্র সৌদি শাসক। প্রকৃত শাসনক্ষমতা যুবরাজ মোহাম্মদের হাতেই। ২০১৭ সালে ছেলেকে ক্রাউন প্রিন্স বা যুবরাজ ঘোষণা করেন বাদশাহ।
সমাজ ও সংস্কৃতির আধুনিকায়নের লক্ষ্যেই ইতিমধ্যে বহু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। গাড়ি চালানো, হলে গিয়ে সিনেমা ও মাঠে গিয়ে খেলা দেখা এমনকি অভিভাবক ছাড়াই নারীদের হোটেলে কক্ষ ভাড়া নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। দেশটিতে বড় বড় কনসার্টেরও আয়োজন করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়।প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের ‘ভিশন ২০৩০’ এর অংশ হিসেবে পতাকা ও জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করা হচ্ছে।সমাজ ও সংস্কৃতির ‘আধুনিকায়নে’ ভিশন-২০৩০ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সেই লক্ষ্যেই ইতিমধ্যে বহু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। গাড়ি চালানো, হলে গিয়ে সিনেমা ও মাঠে গিয়ে খেলা দেখা এমনকি অভিভাবক ছাড়াই নারীদের হোটেলে কক্ষ ভাড়া নেয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।